Factখুঁজি প্রতিবেদক, ২১ অগাস্ট ২০২০
চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারের পর আর্জেন্টাইন ফুটবলার লিওনেল মেসির বার্সেলোনা ছাড়া নিয়ে বিভিন্ন ধরণের খবর ভাইরাল হচ্ছে। সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশী মিডিয়াতেও বিভিন্ন খবর প্রকাশিত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হচ্ছে অনেক খবর। কোথাও বলা হচ্ছে বার্সেলোনা ছাড়ছেন মেসি। কোথাও আবার লেখা হচ্ছে বার্সেলোনাতেই থাকবেন তিনি।
এ বিষয়ে বার্সেলোনা সভাপতি ও বার্সেলোনার নতুন কোচ দু’জনই আগে পরে কথা বলেছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে। যা পরস্পর বিরোধী। এ কারণেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ক্লাবটির সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেউ বলেছেন বার্সালোনা ছাড়ছেন না মেসি। অন্যদিকে নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের সাথে মেসির যে কথা হয়েছে তার ইঙ্গিত হচ্ছে বার্সায় মেসির থাকার চেয়ে না থাকার সম্ভাবনাই বেশী।

এ বিষয়ে প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক তারেক মাহমুদ বলেন, ”মেসিকে নিয়ে সবার আগ্রহে যুক্তসঙ্গত কারণেই খবর হচ্ছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় খবর দেখে ভাইরাল না করে প্রথমসারির প্রত্রিকায় দেখেই নিশ্চিত হওয়া উচিত“ মাহমুদ আরো বলেন, ”ক্লাবের কিছু সিদ্ধান্তে মেসি খুশী নন। খুশী নন দল নিয়েও। মেসি বার্সেলোনা দলকে যেকোন টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসেবে দেখতে চান। এই দুটি প্রধান কারণেই মেসি বার্সেলোনা ছাড়তে চান। অন্যদিকে বার্সেলোনাও তাঁকে ঘিরে আগাতে চায়। তাঁর সঙ্গে একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড় দলে নিয়ে নতুন করে শুরু করতে চায় বার্সেলোনা। সময়ই বলবে আগামীতে কী হবে”
কিছুটা ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ক্রীড়া বিশ্লেষক ও ডেইলি নিউ এজের জয়েন্ট নিউজ এডিটর আজাদ মজুমদার। তার মতে, “মেসির ক্লাবে থাকা না থাকা মেসির উপর নয়, চুক্তি শেষ হওয়ার আগে সেটি ক্লাবের ওপরই নির্ভর করছে। আর সেটি সহজও নয়। কারণ মেসিকে দলে নিতে যেকোন ক্লাবকে বিপুল পরিমান অর্থ খরচ করতে হবে। তবে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই মেসির ট্রান্সফার হলে বার্সেলোনা ক্লাব আর্থিকভাবে লাভবান হবে।”
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ দল ম্যানচেস্টার সিটি, ফ্রান্সের পিএসজি এবং ইতালির জুভেন্টাসে মেসি যেতে পারেন বলে অনুমান করছেন অনেকে। পিএসজিকে নেইমারকে এনে মেসিকে দেয়ার সম্ভাবনাও দেখছেন একাঅংশ। বার্সেলোনার সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলা এখন ম্যান সিটিতে। অনেকের ভাবনা সেখানেই যাবেন মেসি। তবে করোনা পরিস্থিতির এই অবস্থায় ক্লাবের ব্যয় সংকোচন নীতির জন্য দল পরিবর্তন এখন অনেক কঠিন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সুতরাং এখন পর্যন্ত কোন কিছুই চূড়ান্ত বলা যাবেনা বা হয়নি।