Factখুঁজি প্রতিবেদক, ২১ অগাস্ট ২০২০
১৯ এবং ২০ আগস্ট কয়েকটি বাংলা নিউজ পোর্টাল মালয়েশিয়ায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি তরুণ রায়হান কবির মুক্ত হয়েছেন জানিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। এমন খবর ফেসবুকেও অনেকে শেয়ার করেছেন, যা সত্যি না। রায়হান এখনও সে দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের হেফাজতে আছেন এবং কিছুদিনের মধ্যে মালয়শিয়ান সরকার তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে সরাসরি উড়োজাহাজে উঠিয়ে দিবে। তাই সে দেশে তার মুক্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
সংবাদ সংস্থা এফপি’র মালয়েশিয়া সংবাদদাতা Patrick Lee আজ সকালে Factখুজিকে জানান, “He (Rayhan) is not freed yet, he is under immigration police.” অর্থাৎ, বাংলাদেশি তরুন এখনও মুক্ত নয়, তিনি ইমিগ্রেশন পুলিশের হেফাজতে।
‘রায়হান কবির মুক্ত’ এমন ভুল সংবাদের প্রেক্ষিতে ব্রাকের অভিবাসন বিভাগের প্রধান শরিফুল হাসান গত রাতে এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, এখন পর্যন্ত রায়হান কবির মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে এবং অন্তত কালও থাকবে, আর আপনারা গতকাল থেকে কিছু অপ্রচলিত অনলাইনে নিউজ করাচ্ছেন রায়হান মুক্ত।
করোনা মহামারি চলাকালে অভিবাসীদের প্রতি মালয়েশিয়া সরকারের আচরণ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলায় গত ২৪ জুলাই রায়হান কবিরকে গ্রেপ্তার করে মালায়শিয়ার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর ৬ আগস্ট পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে। পুলিশ ১৪ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ১৩ দিন মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে বুধবার তাকে পুত্রজায়ায় এক ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
রায়হানের আইনজীবী সুমিতা শান্তিনি কিষনা ও সেলভারাজ চিন্নিয়াহ বুধবার দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকাকে জানান, ‘রায়হানের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন তার করোনা পরীক্ষা করা হবে। এরপর উড়োজাহাজের টিকিট প্রাপ্তি সাপেক্ষে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। আমরা আশা করছি, দ্রুতই সে দেশে যেতে পারবে। হয়তো চলতি সপ্তাতেই।’
অথচ কিছু অনলাইন পোর্টাল নিউজ করে যে রায়হান মুক্ত। অনুসন্ধানে দেখা যায়, channelbangladesh নামের পোর্টাল লিখেছে, “বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বিনা শর্তে মালেয়শিয়া সরকার ১৯ আগষ্ট রায়হান কবীরকে মুক্তি দিয়ে বাধ্য হন।” এছাড়াও হাজারিকা প্রতিদিন, বার্তা২৪, আমেরিকা বাংলা এই তিনটি নিউজ পোর্টাল একই ধরনের শিরোনাম (অবশেষে মুক্ত হলএন বাংলাদেশী রায়হান কবির) দিয়ে খবরটি প্রকাশ করেছে। আর 24asia.news লিখেছে, মুক্ত হলেন রায়হান কবির।
এধরণের ভুল সংবাদ প্রকাশের কারনে অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে ফেসবুকে রায়হানের মুক্ত হওয়ার খবরটি শেয়ার করে। ফলে ভুল খবরটি আরও বেশী ছড়িয়ে পড়ে।