১২ নভেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আগুন দেয়া হয়।

 এ ঘটনার সঙ্গে পুরোন একটা ভিডিও জুড়ে দিয়ে ভাইরাল করা হচ্ছে। কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপ ও আইডি থেকে সম্মিলিতভাবে ভিডিওটি এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যেন মানুষ মনে করে এটা বাসে আগুনের ঘটনার। এটি পুরান ভিডিও, বাসে আগুন দেয়ার ঘটনার না। মানুষকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে পুরান এই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে।

বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার অপপ্রচারে পুরোন ভিডিও ব্যবহার

১২ নভেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আগুন দেয়া হয়। এ ঘটনার সঙ্গে পুরোন একটা ভিডিও জুড়ে দিয়ে ভাইরাল করা হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় একজন ধরা পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক কিশোরকে আটক করে কিছু মানুষ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এটি পুরান ভিডিও, বাসে আগুন দেয়ার ঘটনার না। 

Factখুঁজির অনুসন্ধানে দেখা যায়, গতকাল (বৃহস্পতিবার) দিনে আগুন দিয়ে বাস পোড়ানোর পর রাতে এই ভিডিওটি ভাইরাল হতে থাকে। কয়েকটি ফেসবুক গ্রুপ ও আইডি থেকে সম্মিলিতভাবে ভিডিওটি এমনভাবে ব্যবহার করা হয় যেন মানুষ মনে করে এটা বাসে আগুনের ঘটনার।

যাচাই করে দেখা যায়, এই ভিডিওটি নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের বলে ২০১৯ সালের মার্চে ভাইরাল হয়। সেই সময়ে Nirob Pother Musafir নামের এক অ্যাকাউন্টে বলা হয়,“আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে মিসে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার সময় হাতে নাতে ধরা খেল এই ছাত্রলীগ কর্মী।” যদিও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন হয় ২০১৮ সালে।

একই ভিডিও আবার নতুন করে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভাইরাল হচ্ছে। তাফসীরে সাঈদী Tafsire Sayidee নামে এক ফেসবুক পেইজে পুরোন সেই ভিডিও দিয়ে 

লেখা হয়েছে,”বাসে আগুন দেওয়ায় একজন ধরা! বেরিয়ে এসেছে গোপন রহস্য।” এখান থেকেই মূলত নতুন করে ভাইরাল হয়। ২১ ঘণ্টায় এই পোস্ট ৩৫ হাজারের বেশী শেয়ার হয়েছে। MD Zakaria Mahmud ফেসবুক আইডি থেকেও পুরান এই ভিডিও ছড়ানো হয়।

ফ্যাক্টচেকঃ

১২ নভেম্বর ঢাকায় বাসে আগুন দেয়ার ঘটনার সাথে এই ভিডিওর কোনই যোগসূত্র নেই। মিথ্যা প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে পুরান এই ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে।

Comments

While most comments will be posted if they are on-topic and not abusive, moderation decisions are subjective. Published comments are readers’ own views and The Business Standard does not endorse any of the readers’ comments.