যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর যে চিকিৎসা পেয়েছেন, বাংলাদেশের মানুষও সেই চিকিৎসা পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, দেশের “রোগীদের চিকিৎসায় রেমডিসিভির দেওয়া হচ্ছে। যে ট্রিটমেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেওয়া হয়েছে, আমাদের এখানেও একই ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়েছে।”
তবে ট্রাম্পের চিকিৎসা নিয়ে Factখুঁজি যেসব তথ্য খুঁজে পেয়েছে তাতে বলা যায় ট্রাম্প ব্যয়বহুল, বিরল ও বিশেষ যে চিকিৎসা পেয়েছেন বাংলাদেশী কেন এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কেউই এরকম চিকিৎসা পায়নি।
সিএনএন এর খবর অনুযায়ী ট্রাম্পের চিকিৎসায় ওষুধ ও আনুষাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে এক লাখ ডলারের বেশী বা বাংলাদেশী টাকার প্রায় ৯০ লক্ষ্য টাকা এরই মধ্যে খরচ হয়েছে। তাকে নিয়মিত ওষুধের সাথে ট্রায়ালে থাকা কিছু ওষুধ ব্যবহারেরও বিশেষ অনুমতি দেয়া হয়।
Regeneron’s experimental antibody therapy দেয়ার পর তাকে নীবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ফলে সিএনএনের মতে ট্রাম্প পৃথীবির একমাত্র রুগী যিনি করোনায় এমন বিশেষ চিকিৎসা পেয়েছেন।
তিনি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক (Dr Sean Conley) সিন কনলের পাশাপাশির স্পেশালিস্ট ডাক্তারের পরামর্শ পান। পাশাপাশি প্রয়োজনে হেলিকপ্টারে করে বিশ্বের অন্যতম সেরা হসপিটালে Walter Reed National Military Medical Center-এ স্থানান্তরীত হন।
সেখানের সেরা ডাক্তাররা তার চিকিৎসায় যুক্ত ছিলেন। অন্যান্য টেস্ট এর পাশাপাশি তাঁর কোভিড–১৯ এর টেস্ট কোন কোন দিন দুবারও করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র বা বাংলাদেশের মানুষ যে চিকিৎসা পাওয়ার কথা চিন্তাই করতে পারে না। বা সম্ভব নয়।
Factখুঁজি’র অনুসন্ধানে দেখা যায় “রেমডিসিভির” মতো বহুল প্রচলিত অষুধ মিলে যাওয়া ছাড়া ট্রাম্পের চিকিৎসার সাথে সাধারণ বা ভিআইপি বাংলাদেশীদের চিকিৎসারও কোনই মিল নেই বা হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। মার্কিন জনগণ বা বিশ্বের অনেকেই এ ধরণের চিকিৎসা পাবার কল্পনাই করতে পারেনা।
স্বাস্থমন্ত্রীর দাবীটি ভিত্তিহীন।