ছবিটি গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসছে। অন্তত ৫০টি সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল ছবিটি ২০১৮ সাল থেকে ব্যবহার করছে। সর্বশেষ ১৯শে আগস্ট ছবিটি প্রকাশ করে ‘নিউজ বাংলা’ অনলাইন পত্রিকা। কেউ ফাইল ফটো হিসেবে, আবার অনেকে কোন ক্রেডিটলাইন ছাড়াই ছবিটি ছাপিয়েছে।
গুগল ইমেজ অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে, ছবিটি সর্বপ্রথম প্রকাশ করে যমুনা টেলিভিশন তার অনলাইন পোর্টালে ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবরে। বেসরকারি এই টেলিভিশন চ্যানেল ছবিটি তাদের নিজস্ব, নাকি ধার করা সে সম্পর্কে কিছুই উল্লেখ করেনি। তবে ছবিটি তারও আগে তোলা হয়েছে এবং যমুনা টেলিভিশনের প্রকাশের পূর্বে তা অন্য মিডিয়ায় ব্যবহৃত হয়েছে বলে কয়েকজন ফটোসাংবাদিক জানিয়েছেন।
ছবিটি কে, কবে, কোথায় তুলেছে তা জানার জন্য Factখুঁজি কয়েকজন ফটো সাংবাদিকদের সাথে যোগাযোগ করে। তাদের কেউই ছটির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি। এমনকি ফটো সাংবাদিকদের ফেসবুক গ্রুপে ছবিটি শেয়ার করে খোঁজ করলেও এর আসল মালিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে অনেকেই বলেছেন ছবিটি কোন এক ভর্তি পরীক্ষার হবে।
এভাবে কোন ছবি প্রকাশ করা সাংবাদিকতার নীতিবিরোধী হলেও প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমসহ অনেক মিডিয়া অনৈতিক এই চর্চা করে চলেছে।
এই ছবিটি ব্যবহারের তালিকায় আরও রয়েছে যুগান্তর, সমকাল, যায়যায় দিন, বাংলাদেশ প্রতিদিন, Dhaka Post, বাংলা ট্রিবিউনসহ আরও কিছু সংবাদ মাধ্যম।
যুগান্তর ২০২০ সালে তাদের ২ টি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিবেদনে এই ছবি ব্যবহার করেন। যমুনা টেলিভিশন ছবিটি ২০১৮ সালে তাদের এক প্রতিবেদনে প্রথমবার ব্যবহার করে. ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো তারা আবার ব্যবহার করে।
বিভিন্ন ভর্তি পরীক্ষার সংবাদে একই ছবি বার বার ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি চাকরি কিংবা বিসিএস পরীক্ষার সংবাদেও রয়েছে এই ছবির ব্যবহার।
ছবির এমন ব্যবহারকে এক ধরনের অনৈতিক চর্চা মনে করেন দী ডেইলি স্টারের প্রধান ফটোসাংবাদিক শেখ এনাম। তার মতে, সাংবাদিকতায় সুত্র বা ক্রেডিটলাইন ছাড়া কোন ছবি ব্যবহার করা যাবেনা। যার ছবি তার অথবা তার তার প্রতিস্থানের নাম ব্যবহার করতে হবে।