“আনন্দ ভ্রমণ মুহূর্তেই কেড়ে নিল ১৭ জন মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষকের তাজা প্রাণ” শিরোনামে দুটি ছবি দিয়ে অনেকে ফেসবুকে শেয়ার করে বলছে যে ছবি দুটো পরশু শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়ার এম ভি আশরাফ উদ্দিন লঞ্চের ছবি। ছবি দুটি ২০২০ সালের ৫ আগস্টে নেত্রকোনার হাওরে ট্রলার ডুবির ছবি।
গত ২০ মার্চ Md Faridul Alam Bablu নামের একজন প্রথম তার ফেসবুকে ছবি দুটি শেয়ার করে অপপ্রচার শুরু করে। সেখানে দাবি করা হয়, “২০ মার্চ ২০২২ইং দুপুর ২ টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জ আসার পথে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি আশরাফ উদ্দিন ডুবে যায়।“
এর পর ‘পেকুয়া সমাচার’ ও ‘M. Nurul Amin Tipo’ নামের ফেসবুক আইডি থেকেও একই ধরনের পোস্ট দেয়া হয়। গতকাল ‘সুরাজপুর মানিকপুর নিউজ’ নামের এক আইডি থেকেও ছবি দুটি শেয়ার করে একই দাবি করে। আর অনেকে তা বিশ্বাস করে বিভ্রান্ত হয়।
ফ্যাক্টখুঁজি যাচাই করে দেখেছে, গত ৫ আগস্ট ২০২০ ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের চর ভবানীপুর গ্রামের মাকসুদা সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ৪৮ জন ছাত্র-শিক্ষক সকালে নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিত উচিতপুর হাওর এলাকায় আনন্দ ভ্রমণে যায়। প্রবল বাতাসের কারণে একসময় ট্রলারটি কাত হয়ে ডুবে যায়। বেশিরভাগ মানুষ সাঁতরে আশেপাশের নৌকায় উঠলেও ২ শিশুসহ ১৭ জন নদীতে ডুবে মারা যান।
সেই দুর্ঘটনার খবর দেশের সকল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। অথচ, প্রায় দুই বছর আগের ট্রলার ডুবির ছবি ব্যবহার করে তা পরশু দিনের লঞ্চের ঘটনার বলে দাইবি করে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ তারিখ দুপুর ২টা নাগাদ এম এল আশরাফ উদ্দিন নামের একটি লঞ্চ শীতলক্ষা নদীতে একটি মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। গতকাল ভোর ৫:৩৫ মিনিট লঞ্চটিকে নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এই দুর্ঘটনায় ৬ জন মারা যান।